1. admin@bangladeshtimes71.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গলাচিপায় সিলেকশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি গঠন। পটুয়াখালী (গলাচিপা)/উভ/গলাচিপায় পৌরসভার উদ্যোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট উচ্ছেদ অভিযান চালান।  ধান কাটাকে কেন্দ্র করে তহশীলদারকে মারধর। গলাচিপায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত। সরকারি চোরাই ইটে আ”লীগ নেতার বাড়ি !! – হিজলা উপজেলা, বরিশাল ।  গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল। মাথা বিচ্ছিন্ন গলাচিপায় লাশ উদ্ধার! পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান এর পিতা মোঃ রুহুল আমিন সরদার (৭০) অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। গলাচিপায় টোল ও খাজনা ফ্রি সবজি বাজার উদ্বোধন। গলাচিপায় কারিতাসের বীজ বিতরন

এবার চূড়ান্ত ভাঙনের মুখে এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি!

আবু তালেব মোতাহার
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪৫ বার পঠিত

এবার চূড়ান্ত ভাঙনের মুখে এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নানা নাটকের পরও রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হচ্ছে না। দেবর-ভাবি উভয়েই নিজ নিজ অবস্থানে কঠোর। এমন বাস্তবতায় আবারও চূড়ান্তভাবে ভাঙতে যাচ্ছে মূলধারার জাতীয় পার্টি। আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির ব্যানারে রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে একটি বৈঠকও হয়েছে।

 

দলের উভয় অংশের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের মধ্যে জাপা ভাঙার বিষয়টি চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে সমঝোতার আশা করেছিলেন অনেকেই। তাদের ধারণা ছিল, দলের স্বার্থে নমনীয় হতে পারেন রওশন ও জি এম কাদের। নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছিল, সমঝোতার জন্য জি এম কাদের যে কোনো দিন রওশনের বাসায় এসে কথা বলবেন। এজন্য তৃতীয় একটা পক্ষ চেষ্টা করে রীতিমতো ব্যর্থ হয়েছে।

 

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জি এম কাদের মনে করেন, তার নামে নির্বাচন কমিশনে দল ও প্রতীকের নিবন্ধন রয়েছে। তা ছাড়া জাতীয় পার্টি এখন বিরোধী দল। সংসদে ১৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এমন বাস্তবতায় রওশনপন্থিরা চেষ্টা করলেও দল ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। বয়সের কারণে রওশনের দল পরিচালনা ও দলকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে পর্যায়ক্রমে রওশনপন্থিরা ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরবে। রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক এমপি গোলাম মসিহকে হারিয়েছেন রওশন। রওশনপন্থিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জি এম কাদেরের সঙ্গে আবারও হাত মিলিয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসিহ। তবে এখনো তিনি প্রকাশ্য হননি।

 

 

রওশনপন্থিরা মনে করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাপায় সৃষ্ট গৃহদাহে অনেকের দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পার্টি ছেড়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন করে দল গঠনের গতি বেড়েছে। এরশাদের স্ত্রী হিসেবে রওশনকে দিয়ে দল গোছানো ও জাতীয় পার্টির স্বীকৃতি আদায়েও সফল হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তারা। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিকভাবে আস্তে আস্তে মিত্রহারা হবেন জি এম কাদের। এমনকি সমঝোতার জন্য এগিয়ে আসতে বাধ্য হবেন তিনি। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, রওশনপন্থিরা গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবি দেওয়াসহ রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রলোভন দেখিয়ে কাদেরপন্থিদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

 

জাপা সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী দলের নেতা ও জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিক বৈঠক করেছেন গোলাম মসিহ। সূত্র বলছে, রওশনপন্থিদের সাম্প্রতিক পরিকল্পনা জি এম কাদেরের কাছে তিনি বলে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

 

জাপার একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মূলত নেপথ্যে থেকে এখন জি এম কাদেরকে শক্তি জোগাচ্ছেন গোলাম মসিহ ও এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। যে কোনো সময় তাদের আবারো দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

 

রওশন এরশাদের অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত গোলাম মসিহর আকস্মিক পাল্টে যাওয়া নিয়েও আছে বিস্তর আলোচনা। সাবেক বিরোধী দলের নেতা রওশনের ঘনিষ্ঠজনরা অভিযোগ করছেন, অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

জানতে চাইলে গোলাম মসিহ বলেন, তিনি কোনো অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নন। মূলত রওশনপন্থিদের কর্মকাণ্ড পছন্দ না হওয়ায় তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজনে আবারো রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন।

 

এদিকে ৯ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে রওশনের ডাকা সম্মেলন নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সম্মেলনের পোস্টার চোখে পড়েছে। কাদের পক্ষ বলছে, মূলত চাপ সৃষ্টির জন্যই দল থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন রওশনকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে জাপা ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে সম্মেলন নাও হতে পারে।

 

রওশনের সঙ্গে থাকা ছয়জন শীর্ষ নেতা জানান, তারা এরই মধ্যে জি এম কাদেরের সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাসহ এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবাই এই অংশে ভেড়ার আশ্বাস দিয়েছেন দাবি করে নেতারা জানান, কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর, উপজেলা কমিটির নেতারাও সম্মেলনে এ অংশে আনুষ্ঠানিক যোগ দেওয়ার কথা।

 

তবে সবকিছু নির্ভর করছে আগামী ৬ মার্চ বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এমপি ও প্রেসিডিয়ামের বৈঠকের পর। এই বৈঠকে পরিষ্কার হবে, কারা জি এম কাদেরের সঙ্গে থাকছেন, কারা থাকছেন না। প্রত্যাশা অনুযায়ী হেভিওয়েট ও এমপিদের বাগিয়ে আনা সম্ভব না হলে রওশনের সম্মেলন যথাসময়ে হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। প্রয়োজনে সম্মেলন পেছানো হতে পারে।

 

গত বৃহস্পতিবার রাতে রওশন এরশাদের গুলশান-২-এর বাসায় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের নেতৃত্বে নতুন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে রওশন এরশাদ, মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদসহ কমিটির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

 

জানতে চাইলে রওশন অংশের মুখপাত্র সুনীল শুভরায় কালবেলাকে বলেন, ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী যথাসময়ে জাপার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। আশা করি, সম্মেলনের দিন চমক থাকবে। তিনি বলেন, সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে একটি অংশ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

রওশনপন্থিদের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কালবেলাকে বলেন, যে কারও স্বাধীনতা আছে রাজনৈতিক দল করার; কিন্তু তাদের সঙ্গে কা

রা আছে বা থাকবে সেটাই বড় প্রশ্ন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর