শ্যামপুর থানাধীন ঢাকা সিটি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স ৬৮, আল আমিন সুপার মার্কেট পোস্তগোলা চৌরাস্তা অভিনব পন্থায় দক্ষিন বাংলা- সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা: অভিযোগের তীর হানিফ- অভির বিরুদ্ধে।
রাজধানীর শ্যামপুর থানা পোস্তগোলা চৌরাস্তায় একটি বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় দক্ষিন বাংলা আবাসিক হোটেলে দিনে-রাতে অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা: ওই হোটেলে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি মেয়ে রেখে দালালরা চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে পতিতা বাণিজ্য অভিযোগের তীর হানিফের বিরুদ্ধে, নিরব শ্যামপুর থানা -পুলিশ।
আরো অভিযোগ রয়েছে শ্যামপুরে দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেল এবং সুন্দরবন আবাসিক হোটেল, দিন-রাতে অবাধে চলছে দেহব্যবসা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো সংস্থা অভিযান চালালেই যৌনকর্মীদের হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে নারী দেহের পসরা সাজিয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। কৌশলে যৌনকর্মীদেরকে হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে এ ব্যবসা। দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেল মালিক হানিফ এবং সুন্দরবনের মালিক অভি ও ম্যানেজার মনির।
এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর এই আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। হোটেলটিতে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে, হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। সম্প্রতি শ্যামপুর মডেল থানার পুলিশ আবাসিক হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুজনকে আটক করেন। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে দেহ ব্যবসায়ীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব দালাল হোটেলের আশপাশে ঘুরঘুর করে খদ্দের সংগ্রহ করে। তারা রাস্তায় চলমান মানুষদের কাছে ছোট্ট করে কিছু লাগবে নাকি, নতুন আছেসহ অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। যাতে অনেক পথচারীই বিরক্ত প্রকাশ করে থাকেন।
অভিযোগ রয়েছে শ্যামপুরে দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেল এবং সুন্দরবন আবাসিক হোটেল দিন-রাতে অবাধে চলছে দেহব্যবসা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি মহল এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো সংস্থা অভিযান চালালেই যৌনকর্মীদের হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই ধরনের কিছু হোটেলের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আবাসিক হোটেলের নামে আড়ালে তাদের প্রধান কাজ তারা অসামাজিক কাজ চালানো। বিভিন্ন জেলা থেকে অগত মানুষ না বুঝে এসব হোটেলে উঠে বিব্রতকতর অবস্থার শিকার হন। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে দেহব্যবসায়ীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হোটেল দুই”টি পরিচালনা করেন মো. হানিফ আর অভি ম্যনেজার মনির। একসময় এ হোটেলের বয় ছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে অনৈতিক কাজে সিদ্ধহত হয়ে যান হানিফ। রাতারাতি মোটা আয় দেখে নিজেই নিয়ে নেন হোটেল দুই”টি। হোটেলের সামনে বসে থাকা এসব দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। আবার ভ্রাম্যমাণ দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। হাঠৎ একটি যুবক আসে। প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানে পড়ে বলেন ভাই কাউকে খুঁজতে আসছেন নাকি। তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। রেট একটু বেশি করোনার কারণে। চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই পোস্তগোলা রিমঝিম হোটেলে চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা। এদেরকে ওপেন শেলডার দিয়ে যাচ্ছে নামধারী কথিত সাংবাদিক একটি চক্র। তারা নাকি জাতীয় পত্রিকা ওর টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক এগুলো স্বীকার করেন দালাল নিরব।
জানা গেছে, হোটেলটি পরিচালনাকারী মো: হানিফ এক সময় এ হোটেলে কাজ করতেন। রাতারাতি মোটা পয়সার মালিক হতে নিজেই হোটেলের মালিক হন। এরপর শুরু হয় অনৈতিক কর্মকাণ্ড। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু রিমঝিম নয়, অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হয় হোটেল পপুলার, হোটেল বলাকা, হোটেল সুরমা, হোটেল রয়েল, হোটেল রিদম ও হোটেল প্রেস, বেশ কিছু হোটেলেই অসামিজক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুর বলেন, পুলিশ অভিযান চালালেই নামে-বেনামে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। যার তালিকায় কিছু নামধারী সাংবাদিকও রয়েছে। তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ শ্যামপুর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সাথে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড রুখতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলসহ শ্যামপুর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি-চলবে…..