নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের এক সাবেক ওসি ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় নিজ স্ত্রীর নামে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। মূলত এ অর্থের উৎস আড়াল করতেই তিনি স্ত্রীর নামে গড়েন সম্পদের পাহাড়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে তার ঘুষ ও দুর্নীতির আদ্যোপান্ত। প্রমাণ পাওয়ায় এ দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক সেলিম মিয়া দুটি মামলাটি করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে আসমা উল হুসনার উল্কা ও তার স্বামী গাজীপুরের টঙ্গী থানার সাবেক ওসি গাজী রুহুল ইমামকে। এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ৬৯ লাখ ৪৭০ টাকা টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রুহুল ইমাম তার অবৈধ আয়ের উৎস আড়াল করতে তার উৎস, মালিকানা স্থানান্তর-রূপান্তরের মাধ্যমে তার স্ত্রী আসমাউল হুসনার নামে মোট ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরপর তা নিজেদের দখলে রেখে তারা দুদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র তথ্যাদি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসমাউল হুসনার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপর তাকে সম্পদ বিবরণীর দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। তার দাখিল সম্পদ বিবরণীতে ব্যাপক গরমিল পায় দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে তার স্থাবর-অস্থাবর এবং ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ
পাওয়া যায় ১ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৫ টাকা। অন্যদিকে তার দায়সহ মোট বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৫৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে তার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে রুহুল ইমামের সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি তার বৈধ আয়ের চেয়ে ১৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন