ফাইজুর রহমান (শুভ)।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে যখন সবকিছু এলোমেলো তখন মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে দাঁড়ালেন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আখতারুজ্জামান শামীম,গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার হোসেন,সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ঝড়ো হওয়ার মধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের গাছ অপসারণ থেকে শুরু করে,বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া নিজ উদ্যোগে গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয়দেরকে নিয়ে অপসারণ করেন।এ সময় কাজে সহযোগিতা করেন,দৈনিক আলোর জগত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ফয়জুর রহমান শুভ,স্টক রিপোর্টার ক্রাইম সবুজ শরীফ,বাংলাদেশ টাইম ৭১ এর স্টাফ রিপোর্টার রুবেল,স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুজাহিদ হোসেন কৌশিক,সোহেল খন্দকার,তৌহিদ রাড়ি সহ অন্যান্যরা।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে পটুয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনও বইছে ঝড়ো হওয়া। সেই সঙ্গে ভারী থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তীরে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ।সমুদ্রের গর্জনে যেন পুরো এলাকা জুড়ে প্রকম্পিত।
এদিকে রোববার রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালী সদর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপা-সহ বেশ কিছু এলাকায় ভেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি এবং দোকানপাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলার প্রায় ৪ লক্ষ পরিবার।
তবে ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।