মোঃ নেছার উদ্দিন
জমে উঠেছে পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদ বাজার।
স্টাফ রিপোর্টার:সাইমুন হাসান পরশ
শহরের বিপণীবিতানসহ বিভিন্ন দোকান গুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।গলাচিপা পৌর শহরের পোষাকের গার্মেন্টসের দোকানসমূহে,প্রসাধনী সামগ্রির দোকান এবংগার্মেন্টস পট্টিতে নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া পৌর শহরের মুদি মনোহরী দোকানগুলোতে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সববয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর মার্কেট-বিপণীবিতান।
পুরুষের তুলনায় নারীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। শাড়ি-থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিকস সামগ্রী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছেন।গলাচিপা সিজান ফ্যাশনের স্বত্ত্বাধিকারী বশির উদ্দিন বলেন, কিশোর-কিশোরীসহ মহিলাদের সব ধরনের আইটেম পাওয়া যায়।গত বছরের তুলনায় বিক্রি বেশি হচ্ছে।এখ্নে বুটিক্সস, কাটা ও ওয়েস্টার্ন এগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।পৌর শহরের পলাশ গার্মেন্টসের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এছাড়া ও সাইমন-সুজ এর স্বত্বাধিকারী সাইমন বলেন,প্রত্যেক বছরে তুলনায় এ বছর তুলনামূলক বিক্রয় মোটামুটি ভালো এবং মালের কোয়ালিটি অন্যান্য বছরে তুলনায় যথেষ্ট ভালো।
গলাচিপা পৌর শহর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষ কেনাকাটা করতে আসে।পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি কিনতে আসে। সকাল থেকে দুপুর ও সন্ধ্যার পর সবচেয়ে ভিড় বেশি থাকে।অনন্যা কসমেটিক্সের মালিক বিপুল বলেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো বাড়বে।অনেকে ওই সময়ে বেতন পাবেন।তখন ক্রেতাও বাড়বে বলে তার আশা।সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ নিজেদের পছন্দমত কেনাকাটা করতে পারছেন।গলাচিপা পৌর শহরের ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম আহবায়ক বলেন,গলাচিপা পৌর শহরের পণ্য সামগ্রি ভালো মানের। তুলনামূলকভাবে দামও বেশি নয়। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে কেনাকাটা করছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাটা করতে পারে এজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। পৌর শহরে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করছে।গলাচিপা পৌর শহর উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে এবং চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।