এফ, আর শুভ
প্রতিকূল আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রভাব পড়েছে তরমুজ চাষের ফলনের উপর।সবকিছু অপেক্ষা করে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এগ্রিকাস সীডস্ কম্পানির ম্যারাডোনা জাতের তরমুজ।বাংলাদেশের দক্ষিণের এলাকা বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা সহ কয়েকটি জেলায় আগাম তরমুজ চাষ করার প্রবণতা আছে।অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের ঋতু অনুযায়ী সাধারণত এ সময় শীতের তীব্রতা থাকে।যার কারনে অনেক জাতের তরমুজ অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় রাখতে পারেনা।যাতে করে প্রভাব পড়ে ফলনের উপরে।বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন যাতে তরমুজ বীজ থাকা সত্ত্বেও যেখানে সবগুলো জানতে বীজ হাল ছেড়ে দিয়েছে সেখানে যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যারাডোনা জাতের তরমুজ।
সাধারণত ম্যারাডোনা ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যায়।যাতে করে চাষী অধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে।বাংলাদেশের দক্ষিণের অঞ্চল পটুয়াখালীর গলাচিপায় এবছর ব্যাপক পরিমাণে ম্যারাডোনা তরমুজ এর চাষাবাদ হয়।ফলন ভালো ও বীজের গুণগতমান ভালো থাকায় চাষীদের মুখে হাসির ঝলক।
এ নিয়ে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চাষী আব্দুল হালিম মিয়া জানান।বিগত কয়েক বছর বিভিন্ন কোম্পানির তরমুজ চাষ করে দেখেছি।একটু গরম অথবা হালকা শীত থাকলে কোন না কোন সমস্যা দেখা যায় কিন্তু এ বছর ম্যারাডোনা যাতে তরমুজ চাষ করে আমাদের এই ধরনের কোন কিছুর সম্মুখীন হতে হয়নিতাই আমার পাশাপাশি অনেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে এই বীজ সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ নিয়ে কোম্পানি প্রতিনিধ মামুনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।ম্যারাডোনা এমন একটি জাত যা অতিরিক্ত গরমও ঠান্ডা আবহাওয়া গাছের উপর কোন প্রকার প্রভাব পড়ে না।এবং ভাইরাস জনিত কোন সমস্যা ওইভাবে হয় না।এ জাতের তরমুজ ১২ থেকে ১৫ কেজি হয়ে থাকে।এটি থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা অত্যন্ত ভালো মানের বীজ।