1. admin@bangladeshtimes71.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গলাচিপায় সিলেকশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি গঠন। পটুয়াখালী (গলাচিপা)/উভ/গলাচিপায় পৌরসভার উদ্যোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট উচ্ছেদ অভিযান চালান।  ধান কাটাকে কেন্দ্র করে তহশীলদারকে মারধর। গলাচিপায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত। সরকারি চোরাই ইটে আ”লীগ নেতার বাড়ি !! – হিজলা উপজেলা, বরিশাল ।  গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল। মাথা বিচ্ছিন্ন গলাচিপায় লাশ উদ্ধার! পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান এর পিতা মোঃ রুহুল আমিন সরদার (৭০) অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। গলাচিপায় টোল ও খাজনা ফ্রি সবজি বাজার উদ্বোধন। গলাচিপায় কারিতাসের বীজ বিতরন

দিঘলিয়া থানা পুলিশ কর্ম বিরতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর 

এস.এম.শামীম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭২ বার পঠিত

দিঘলিয়া থানা পুলিশ কর্ম বিরতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর 

খুলনা জেলা প্রতিনিধি //এস.এম.শামীম : খুলনা শহরের সবথেকে কাছের উপজেলার নাম দিঘলিয়া উপজেলা। এই উপজেলার স্থাপনকাল ৭ নভেম্বর ১৯৮৩ সাল। চারিদিকে নদীবেষ্টিত উপজেলা এটি। এখানে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে।

উপজেলার জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজারের অধিক। উপজেলাটি খেলাধুলা, শিক্ষাদীক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে অনেক উপজেলা থেকে এগিয়ে রয়েছে। এ উপজেলার জনগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিবিড়বন্ধনে দীর্ঘদিন যাবত শান্তির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একসময় রূপ নেয় অসহযোগ আন্দোলনে।

ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন ও ঢাকা মুখে যাত্রা কর্মসূচির মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের মাধ্যমে সারাদেশে শুরু হয় বিজয় উল্লাস।

এ অবস্থার মধ্যে পুলিশ প্রশাসন তাদের ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে কর্মবিরতি শুরু করে । এক দিকে চলে ছাত্র জনতার বিজয় উল্লাস। অপরদিকে দেশ হয়ে পড়ে অরক্ষিত। দেশ ব্যাপী শুরু হয় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, লুটপাট ও ভাঙ্গচুর। শুরু হয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানে হামলা।

তারই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া উপজেলার বেশ কিছু জায়গায়ও হামলা, ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ব্যক্তিগত আক্রশেও বিভিন্ন বাড়িঘরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।এ অবস্থা সামাল দিতে ইতিমধ্যে দিঘলিয়া উপজেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দিঘলিয়া উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং জান মালের নিশ্চয়তা বিধানকল্পে সহযোগিতা প্রদানের জন্য দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ তাঁর নিজস্ব কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

এ সময় রাজনৈতিক নেতারা বলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের একমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত আইন কার্যকর, সম্পত্তি রক্ষা, সামাজিক আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাকারী একটি বাহিনী। পুলিশ তাদের ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে এখনো পর্যন্ত কর্মবিরতিতে রয়েছে তবে ইতিমধ্যে তারা স্বল্পপরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছে। দিঘলিয়া থানায় খোঁজ নিয়েও এর সত্যতা মেলে।

দিঘলিয়া থানার সম্মুখে যেয়ে দেখা যায় আর্মির সদস্যরা থানার পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন। ২ শতাধিক থানার কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও এখনো কর্ম বিরোধীতে রয়েছেন পুলিশের অধস্তন সদস্যরা। তাদের ভাষ্য ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবেন। পুলিশের অধস্তন সদস্যরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে তাদের অসংখ্য সহকর্মী মারা গেছেন তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশের কতজন সদস্য নিহত হয়েছেন তার হিসাবও জানাতে পারেনি পুলিশ সদর দপ্তর।

তারা আরো বলছেন গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গেলেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের না জানিয়ে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তাৎক্ষণিক বিষয়টি কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হলে এত পুলিশ সদস্য মারা যেত না বলে পুলিশ সদস্যরা মনে করেন। পুলিশ সদস্যরা বলেন, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এখনো চিন্তিত। তাই আমরা কর্ম বিরোতিতে থাকলেও স্বল্পপরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না। পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কন্ট্রোলরুম থেকে বার্তা পাঠানো হলে এত পুলিশ সদস্য মারা যেত না। পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– (১) চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সকল পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। (২) নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান আজীবন পেনশন রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা।আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। (৩) পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। (৪) সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সেক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং সেটি যথাসময়ে নিশ্চিত করা। সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার এক বছরের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে।এ ছাড়া কনস্টেবল, নায়েক, এটিএসআই, এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে পাসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা। (৫) আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আট ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্য ওভারটাইম প্রদানের ব্যবস্থা করা অথবা বছরের দুটি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা। (৬) পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিকরণ, টিএ-ডিএ বিল প্রতিমাসের দশ তারিখের মধ্যে প্রদান এবং প্রযোজ্য সকল সেক্টরে সোর্স মানি নিশ্চিত করতে হবে। (৭) পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ষাট দিন করতে হবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ছুটি ছাড়া সম্ভব না হলে অভোগকৃত ছুটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হবে। (৮) পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করতে হবে। যার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তার কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়। (৯) পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনও দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। (১০) পুলিশের সকল থানা, ফাঁড়ি এবং ট্রাফিক বক্স আধুনিকায়ন করতে হবে এবং অধস্তন অফিসারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। (১১) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে বিদ্যমান আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে ব্যারাকগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর