দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোরী। যাদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজগামী। সহজে না পাওয়ায় তাদের একটি বড় অংশ ঋতুস্রাবে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে পারে না। অনেকে আবার দীর্ঘক্ষণ একই প্যাড ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। ফলে মাসের বিশেষ এই সময়টিতে তাদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ও তুলার ব্যবহার এবং আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একটি প্যাড ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ইনফেকশন থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব ও ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
বিষয়টিকে গুরুত্বদিয়ে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দুটি কলেজে স্থাপিত হয়েছে ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন’। প্রতিটি মেশিন থেকে মানসম্মত ব্রান্ডের স্যানিটারি প্যাড বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। ডিজিটাল আরএফআইডি কার্ড পাঞ্চ করার মাধ্যমে বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে প্রতিবারে একটি প্যাড ছাত্রীরা এ মেশিন হতে সংগ্রহ করতে পারবে।পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূর কুতুবুল আলম গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম যাত্রা শুরু করেন।শিক্ষার্থীদের জমা অর্থ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম চলমান রাখবে। কিশোরীদের পিরিয়ডকালীন সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিতে উপজেলা প্রশাসন তথা সরকার বদ্ধ পরিকর বলে জানান জেলা প্রশাসন।