স্টাফ রিপোর্টার // মোঃ শিহাব: বেড়েই চলেছে হিজলার দখল ও উচ্ছেদ বাণিজ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জামাত। দখলে বিএনপি। লুট পাটের কায়েম চলছে হিজলা। দখলদারিত্ব আধিপত্য বিস্তারে বিএনপি এগিয়ে। প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সাম্প্রতি ইজ লাইফ দখলদারিত্ব ও আধিপত্য বিস্তার চলছে তো চলছেই। থেমে নেই এদের কার্যক্রম। গতিরোধের ব্যবস্থা নেই।মাছঘাট, খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট, ঠিকাদারী, ওএম এস, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, এমনকি ব্যক্তি সম্পত্তি দখলে মরিয়া হিজলা থানা বিএনপি।
গত এক মাস ১৫ দিনে দখল দারিতে এগিয়ে বিএনপি। নিশ্চুপ এবং দর্শকের ভূমিকায় জামায়াতে ইসলাম। পলাতক রয়েছে আওয়ামী লীগ। কোন ঠাসা জাতীয় পার্টি।
হিজলা খাদ্য বান্ধ কর্মসূচির ডিলার বাবুল ঢালী, বিপ্লব দাস, আখিনুর বেগম সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় নেই তবুও তাদের দাপট একটু বেশি। ১৯ সেপ্টেম্বর হিজলা উপজেলার ৩৫ টি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের ডেকে আনা হয় হিজলা উপজেলায়। নেতৃত্ব দেন বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার, মনির দেওয়ান, আলতাফ হোসেন খোকন দপ্তরি সহ একাধিক নেতা। আলতাফ হোসেন খোকন, মনির হোসেন দেওয়ান জানান, এ ধরনের বিষয় তাদের জানা নেই। কেউ তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে পারে।
একপর্যায়ে জোর পূর্বক আমাদের কাছ থেকে ডিলারশিপের কাগজপত্র সই স্বাক্ষর ও প্রত্যয়ন নিয়ে নেয় বিএনপি’র ক্যাডার বাহিনী। একযোগে ৩৫ টি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার এক ঘন্টার ব্যবধানে মালিক হয়ে যান বিএনপি। একপর্যায়ে আখিনুর ও বাবুল ঢালীকে লাঞ্ছিত করে বিএনপি’র নেতাগণ। হিজলা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না। দপ্তরের অফিস সহায়ক বাকের হোসেন জানান পুরাতন ডিলারদের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে। তা মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হিজলায় জমি,দোকান,খেয়াঘাট প্রতিনিয়ত একের পর এক দখল অভিযান চলছে তো চলছেই। উদাসীন প্রশাসন।