স্টাফ রিপোর্টার,
রাজধানী মিরপুরের ১০ নাম্বার আইডিয়াল গার্লস স্কুলের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটি দোকানে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সোলায়মান।বিগত দিনগুলোতে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দলীয় চাঁদাবাজদের অত্যাচার হয়রানিতে দিন অতিবাহিত হয়।বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ও চাঁদাবাজ আর কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সোলাইমান সহ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর ১০ নম্বর ফুডের আইডিয়ালের সামনে থেকে হোপ স্কুলের গলির কিছু অংশ, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত থাকা রনি ও আসিফের নেতৃত্বে এখনো চলছে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি। তারা নানা সময় দল বল নিয়ে দোকান দখলসহ ব্যবসায়ীকে মারধর করে চাঁদা আদায় করেন।
মঙ্গলবার আইডিয়াল গার্লস স্কুলের সামনে সোলাইমান নামে এক ফুডের ব্যবসায়ীকে দোকান দখলের উদ্দেশ্যে মারধর করে। অতঃপর চাঁদা দাবি করে দোকান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি সহ নানা ভয়-ভীতি দেখায়।
এদিকে সোলাইমান গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করে বলেন-এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে কোনরকম আমি সংসার চালাচ্ছি।এখন কিশোর গ্যাংয়ের রনি আসিফের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে আছি। সারাদেশে ফুডে কেউ চাঁদাবাজি না করলেও মিরপুর ১০ আইডিয়ালের সামনে রনি ও আসিফের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি অব্যাহত আছে। তাই আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কাছে এই কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানায়-চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের কোন রাজনৈতিক পরিচয় হতে পারে না।
যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করে তাদেরকে প্রতিহত করুন। এদেরকে ধরা মাত্র প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করার জন্য তারা অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য,কয়েকজন দোকানদার গণমাধ্যম কর্মীদের জানায় কিশোর গ্যাং রনি -আসিফের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন সদস্য কাজ করে।৪ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপরে তারা হামলাও করেছিল।তারা আরও জানান এই কিশোর গাং মাদক ও বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও দখল বাজিতে মেতে থাকেন।