মো: নেছার উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বড়চত্রা গ্রামের মোঃ মালেক সর্দারের ছেলে মোঃ আল-আমিন প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানা স্থাপন করে সাবলম্বী হয়েছেন।২০১৮ সালে ২৪ শতাংশ জমির উপরে “মেসার্স লিমন প্লাস্টিক” নামে তিনি এই কারখানা গড়ে তোলেন। শুরুতে আল-আমিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কারখানা পরিচালিত করেন।ধীরে ধীরে তিনি ১জন ২জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে দিতে আজ তার কারখানায় ২৫ জন শ্রমিক কাজ করে। এই প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানার কারনে ২৫ টি পরিবার কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। আল-আমিন জানান তিনি ধীরেধীরে কারখানাটি আরও বড় করে তুলতে চান এবং আরও শ্রমিক নিয়োগ দিবেন। ভবিষ্যতে তার এই কারখানার কারনে এলাকার বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হকাররা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক কিনে আল-আমিনের কাছে বিক্রি করে। আল-আমিন সেই পরিত্যক্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল করে বিক্রি করে। এর ফলে উপজেলার বিভিন্ন আনাচে কানাচে পরে থাকা প্লাস্টিকে পানি জমে ডেঙ্গু মশাসহ বিভিন্ন রোগ জীবাণু সৃষ্টি হতে পারছেনা। প্লাস্টিক মাটিতে মিশে মাটি দূষণ করে।এতে কৃষি জমি তার উর্বরতা হারায়। গাছপালার বৃদ্ধিতে ক্ষতি সাধন করে। এক্ষেত্রে প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানা স্থাপন করে মাটি দূষণ রোধ করা সম্ভব। আল-আমিন আরও জানান, সুন্দর ভাবেই কারখানা পরিচালিত করে আসছিলাম কিন্তু কিছুদিন যাবত এলাকার কিছু মানুষ কারখানার কার্যক্রমে বাঁধা সৃষ্টি করছে। আমি যেনো প্লাস্টিক রিসাইকেল কারখানা চালাতে না পারি সেজন্য ইউ এন ও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ২ বছর আগে কারখানার পাশে মোঃ মিজানুরের মেয়ে মীম আক্তারের সাথে আমার শ্যালক আরিফের বিয়ে হয়। বিভিন্ন ঝগড়া বিবাদের কারনে আনুমানিক ১৫ দিন আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকেই আমি যেনো কারখানা চালাতে না পারি সেজন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাতে থাকে মিমের পরিবার।কারখানার শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় এই কারখানায় কাজ করে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।তাই এই কারখানা বন্ধ না করে আরো নতুন নতুন কারখানা স্থাপন করে এলাকার বেকার যুবকদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি।